শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

 

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও ভূমি অফিসের নাকের ডগায় খাস জায়গার উপর বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রকাশ্যে সরকারী ভূমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি কর্মকর্তা লোকদেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও সরকারী জায়গার উপর স্থায়ীভাবে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কারীর বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করা এবং প্রভাবশালী ব্যক্তির দখলকৃত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, ঈদগাঁও ভূমি অফিসের সামনে অবস্থিত প্রায় ৩ কড়া জমির মালিকানাধীন হলেও ইতিমধ্যে বাজারে ভূমি অফিসের প্রায় ৫ কানি সরকারী সম্পত্তি স্থানীয় প্রভাবশালীরা জোর পূর্বক দখল করে নিয়েছে। ৪২ কোটি টাকার সম্পত্তির উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে দখলকারীরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা চালিয়ে গেলেও প্রশাসন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোন ধরণের ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ঈদগাঁও ভূমি অফিসের সামনে দক্ষিণ মাইজ পাড়ার মৃত আবুল হোসেনের প্রভাবশালী পুত্র হাফেজ মোঃ আবু ছিদ্দিক দানু সরকারী জায়গা দখল করে নিজের অনুগত লোকজনকে দিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছেন। এমনকি জেলা উপজেলা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কিংবা সভা সেমিনারের দখলদারদের উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত করার কোন বক্তব্য ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় না।

এমনকি জালালাবাদ ইউনিয়নের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরমান উদ্দীন বাদী হয়ে প্রশাসনের কয়েকটি দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। বরং প্রকাশ্য দিবালোকে স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছে এ দখলদার আবু ছিদ্দিক। তবে গত বুধবার ঈদগাঁও ভূমি অফিসের নবাগত ভুমি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। মাঝেমধ্যে ঈদগাঁও বাজারের সড়কের উপর ছিন্নমূল হকারদের সরিয়ে দিয়ে লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলেও সরকারী জায়গার উপর স্থায়ীভাবে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করা এবং প্রভাবশালীদের দখলকৃত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সরকারী রেকর্ডে থাকা অবৈধ স্থাপনা এখনো বহাল রয়েছে। বাজারের জনসম্মুখে সরকারী খাস জায়গার উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। বহুতল ভবনটি নির্মাণ করতে ইমারত আইনও মানা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেন স্থানীয় কয়েক ব্যবসায়ী। ঝুঁকিপূর্ণভাবে ভবন নির্মাণ করায় পাশর্^বর্তী ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছে। এ ব্যাপারে হাফেজ মোঃ আবু ছিদ্দিক দানুর সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ঈদগাঁও ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা খালেদা বেগম স্থাপনার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানান।